ময়মনসিংহ বিভাগের দর্শনীয় স্থান সমূহ
ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলার জনপ্রিয় বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান সমূহ
1.বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
2.গৌরীপুর রাজবাড়ি
3.আলেকজান্ডা ক্যাসেল
4.আনন্দমোহন কলেজ
5.বোকাইনগর দুর্গ
6.মহারাজ শশীকান্তের বাড়ি
7.টাউন হল
8.শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা
হাওর জঙ্গল মোষের সিং , এ তিনে নামে ময়মনসিংহ বলে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে | ময়মনসিংহ নামে পরিচিত এলাকাটির পূর্ব নাম ছিল নাসিরাবাদ |
1. বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় : ময়মনসিংহ জেলা থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে ১২০০ একর জায়গা নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে | কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, শিক্ষক মিলনায়তন,বোটানিক্যাল গার্ডেন ,স্টেডিয়াম, স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ডঃ ওয়াজেদ মিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ডঃ ওয়াজেদ মিয়া | এছাড়া রয়েছে ফুলের বাগান আম, লিচুর বাগান,সবুজ মাঠ, ফিশ মিউজিয়াম,কৃষি মিউজিয়াম, সেন্ট্রাল মসজিদ,বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত মাছ চাষের পুকুর,এবং বিভিন্ন দর্শনীয় ভাস্কর্য |
2.গৌরীপুর রাজবাড়ি:ধারণা করা হয় ১৮৫০ সালে গৌরীপুর রাজবাড়ি নির্মাণ করা হয় | গৌরীপুরে জমিদারের বয়স প্রায় দেড়শ বছর হলেও ১৯৪৭সালে দেশ বিভাগের সময় গৌরীপুরে অধিকাংশ জমিদার দেশ ত্যাগ করেন | হলে কালের বিবর্তনে পরিচর্যার অভাবে এখন গৌরীপুর রাজবাড়ি ঐতিহ্য বিলুপ্তির পথে | এখন শুধু রয়েছে চিড়িয়াখানা ,বাগানবাড়ি. সঙ্গম, সাগরদিঘী,পুকুর ঘাট. তিনতলাবিশিষ্ট তোরণ,ধ্বংসপ্রাপ্ত দেয়াল এবং মন্দির ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই | মন্দিরে বিভিন্ন ধরনের পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে |
3.আলেকজান্ডা ক্যাসেল : আলেকজান্ডা ক্যাসেল ময়মনসিংহ শহরের একটি পুরনো স্থাপনা | ১৮৭৯ সালে মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য এ প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন। প্রায় ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে চীন থেকে আসা কারিগর দিয়ে এবং লোহার অপূর্ব সমন্বয় প্রাসাদটি নির্মাণ করা হয়েছিল | পরবর্তীতে এটি লোহার কুঠি নামে পরিচিতি পায় | বিখ্যাত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সফরের সময় এখানে কিছুদিন অবস্থান করেন |আলেকজান্ডা ক্যাসেল, লর্ড কার্জন, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ,নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহর এবং কামাল পাশার মতো বিখ্যাত ব্যক্তির পদধুলিতে ধন্য হয়েছে প্রাসাদটি বা ভবনটি |
4.আনন্দমোহন কলেজ : বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী কলেজ আনন্দমোহন কলেজ | আনন্দমোহন কলেজ ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৯০৯ সালে | এ মহান উদ্যোগ এর সঙ্গে যার নাম জড়িত রয়েছে তিনি হলেন ব্যারিস্টার আনন্দমোহন বসু |
5.বোকাইনগর দুর্গ : ময়মনসিংহ জেলা থেকে প্রায় 20 কিলোমিটার দূরে গৌরীপুর উপজেলায় রয়েছে বোকাইনগর দুর্গ নগর | বোকাইনগর নামেএকটি রেল স্টেশনে রয়েছে |চাঁদ নগর রেলস্টেশনের কাছে একটি সেতু নির্মাণ করেন | দীর্ঘদিন ধরে বোকাই নগর রেলস্টেশনে পার্শবতী রেলস্টেশন গুলোতে কাজ করছেন | তিনি জানান একাদশ ও চতুর্দশ শতাব্দীর মাঝামাঝি কামরূপ আদিম উপজাতি অধীর সামন্ত সরদার কোচেররাজধানী ছিল | বোকাইনগর শাসকের নামের সাথে স্মৃতি বিজড়িত |এভাবে নগরীর নামকরণ করা হয় বোকাইনগর |
6.মহারাজ শশীকান্তের বাড়ি: ।শশীলজ বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত | এটি ময়মনসিংহের রাজবাড়ী নামে পরিচিত | শহরের কেন্দ্রস্থলে ব্রহ্মপুত্র নদের অদূরে রাজবাড়ী অবস্থিত |১৯৫২ সাল থেকে শশী লজ ব্যবহৃত হচ্ছে মহিলা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসাবে। উনবিংশ শতকের শেষদিকে মুক্তাগাছার জমিদার মহারাজ সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী দৃষ্টিনন্দন দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেন | মহারাজ সূর্যকান্ত নিঃসন্তান ছিলেন |তিনি তার পালিত ছেলে মহারাজ শশীকান্ত আশ্চর্য চৌধুরীর নামে এর নাম দেন শশী লজ | হুমায়ূন আহমেদের অয়োময় নাটকটি এ বাড়িতে নির্মিত হয়েছিল | সেই থেকে স্থানীয়ভাবে শশী লজ পরিচিত হতে থাকে জমিদার বাড়ি হিসেবে | মোট নয় একর জায়গা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই শশীলজ | ভবনের প্রধান ফটকটি রয়েছে ১৬ টি গম্বুজ | ভবনের পেছনে রয়েছে দোতলার স্নানঘর ,ঘাট,পুকুর পুকুরের ঘাটমার্বেল দ্বারা নির্মিত |
7.টাউন হল :ময়মনসিংহে প্রতিবছর বসন্তের আগমনে শহরের টাউন হল চত্ত্বরে মাসব্যাপী বসে পুষ্প মেলা।গোলাপ,গাঁদা ফুল, রজনীগন্ধা,ডালিয়া এছাড়াও নানা ফুলের গন্ধে এই টাউন হল রঙিন হয়ে ওঠে |
8.শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা:ব্রহ্মপুত্র নদী তীরে শিল্প যাদের জয়নাল আবেদীনের সংগ্রহশালা নির্মাণ করা হয়েছে | জয়নাল আবেদীন ৭০ টি চিত্রকর্ম নিয়ে সংগ্রহশালা নির্মাণ করেন | তার বিখ্যাত চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে দুর্ভিক্ষ-চিত্রমালা, মই দেয়া ,সংগ্রাম, সাঁওতাল রমণী, ঝড়, কাক, বিদ্রোহী ইত্যাদি | ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে গ্রাম বাংলার উৎসব নিয়ে আঁকেন তার বিখ্যাত ৬৫ ফুট দীর্ঘ ছবি নবান্ন |