Read more;" /> খুলনা বিভাগের দর্শনীয় স্থান খুলনা ভ্রমণ sangram barta - 2023
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন

খুলনা বিভাগের দর্শনীয় স্থান

Reporter Name / ৬১৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩

খুলনা বিভাগের দর্শনীয় স্থান

সুন্দরবন
ভূতিয়ার পদ্মবিল
হিরণ পয়েন্ট
পুটনী দ্বীপ
খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর
খান জাহান আলী সেতু
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্বশুরালয়
বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড
করমজল পর্যটন কেন্দ্র
শহীদ হাদিস পার্ক
কটকা সমুদ্র সৈকত

সুন্দরবন

পার্টি অংশ ৬, ০১৭ কি.মি।আয়তনের জুড়ে সুন্দরবন দল ব-দ্বীপ, দীর্ঘতম স্থান জলাভূমি এবং জীব বৈচিত্রে সমৃদ্ধি একটি বড় ইকোসিস্টেম। এখানে ৩৩৪ প্রজাতির উদ্ভিদ এবং ৩৭৫ প্রজাতি বন্যপ্রাণী বিদ্যমান, যার মধ্যে রয়েছে ৩৫ প্রজাতির সরীসৃপ, ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং বিশ্ব রয়েল বেঙ্গল টাইগার। প্রধান সরীসৃপ জাতিসত্তার মধ্যে আছে নোনা পানি কুমির, অজগর, গোখরা, গুইস, সামুদ, গিরগিটি, কচ্ছপ এবং অন্যান্য। প্রায় ৩০ প্রজাতির সাপ সুন্দরবন পাওয়া যায়। জলাভূমি হিসাবে সমস্ত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান সুন্দরবনকে ১৯৯২ সালে ৫৬০ তম রামসার এলাকা হিসাবে যোষণা করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালে সুন্দরবনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে প্রকাশ করে। ঐতিহাসিক গণ মনে করেন প্রায় দুই বছর পূর্বে গাঙ্গেয় বদ্বীপে সুন্দরবনের পথে।‘নিকোলাস পাইমেদা’ নামের একজন মিনার ভ্রমণেও সুন্দরের রাজাবনের দেখা যায়। কালের বিবর্তনে দেশ একক নেতাকে মানবগ্রোভ বন বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থার নিয়ে আনা হয়। মুঘলরাট আলমগীর-২ এর নিকট হতে ১৭৫৭ সালে ইস্ট কোম্পানির সন্ধিক্ষণে স্বাগত লাভ করে এবং ১৭৬৪ সনে সার্ভে সার্বেয়ার অফিসার মান জরিপ পূর্বক চিত্র নির্মাণ করে। সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন হিসাবে বিদায় করা হয়। ১৮৬৩ সনে সুন্দরবনকে জেলা শহরের সামনের খুলনা খুলনা নবৃষ্ট বন বিভাগের সামনে ন্যাস্ত হয় এবং ৬৯-৭৩ সনে সুন্দরবন জরিপ করা হয়। সুন্দরবনকে সংরক্ষণ ও গাছ আহরণের বিষয়ে আইন প্রণয়ন ব্যাখ্যা করেন।

ভূতিয়ার পদ্মবিল
খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলায় ভূতিয়ার পদ্মবিল অবস্থিত। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এই পদ্মবিল যেন এক স্বর্গ রাজ্য। হাজার হাজার পদ্ম ফোটে থাকে সমগ্র বিল জুড়ে। মোহনীয় এ দৃশ্য কর্মব্যস্ত নাগরিক জীবনের ক্লান্তি ঘুচাতে কাজ করে ম্যাজিকের মত। ভূতিয়ার পদ্মবিল আবহমান গ্রাম বাংলার অপরূপ প্রকৃতির প্রতিচ্ছবি, যা আগের মত আর সবখানে দেখা যায় না। সকাল ৬টা থেকে ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পদ্ম ফুল দেখতে সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। কারণ বেলা যতই বাড়তে থাকে পদ্মও ফুলের ততই পাপড়ি বুজে যেতে থাকে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস ভূতিয়ার পদ্মবিল ভ্রমণের সবচেয়ে আদর্শ সময়।

হিরণ পয়েন্ট

বর্তমানে অবস্থান করছি হিরন পয়েন্ট | হিরণ পয়েন্ট হল হোটেল দক্ষিণে সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ বৃহৎ লৌনা জলবন সুন্দরবনের অংশ দক্ষিণের একটি সংরক্ষিত অভয়ারণ্য। এর নাম নীলকমল। প্রমত্তা কুঙ্গানা পশ্চিম তীরে, খুলনা রেঞ্জে এর অবস্থান। হিরণ পয়েন্ট, ইউনেস্কো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য।বাঘ, হরিণ, বানর, পাখি ও সরীসৃপ শিখা আবাস কিছু এই যায়গাটি। সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার করার জন্য একটি স্থান। চিত্রা হরিণ, বন্য শুকর, পাখিদের মধ্যে সাদা মাছ বক দেখা, সাদাবুরাঙ্গা, হলুদবুকরাঙ্গা, কালোমাথা মাছরাঙা, লার্জ এগ্রেট, কাঁখোঁচা, ধ্যানী বক প্রভৃতি। এ আছে ছাড়া রাজনৈতিক কাঁকর আবাস। আর আছে রং-বেরঙ্গের প্রজাপতি। বেশিই মেঘের গাছের আড়ালে লুয়ে দেখতে শুনতে শুনতে।

পুটনী দ্বীপ

পুটনি দ্বীপ খুলনা জেলার সুন্দরবনে অবস্থিত একটি দ্বীপ যা পুটনি দ্বীপ নামে পরিচিত। এলাকাবাসীর কাছে এর অপর নাম দ্বীপচর। একদিকে দিগন্ত সাগর আর অন্যপাশে সবুজ ঘাসের মরুভূমি আর ঝুরঝুরে খাল। এক কথায় পুটনি আইল্যান্ড অসাধারন। জোয়ার-ভাটার স্রোতে পুরো এলাকা একবার ভাসছে আর পরের বার দেখা যাচ্ছে বালুময় সৈকত। শেষ বিকেলের সূর্য অস্ত যায় এখানে আড়পাঙ্গাসিয়া নদীর মোহনায় এবং বঙ্গোপসাগরে। হরিণ ও মৎস্য অভয়ারণ্য হওয়ায় পুটনি দ্বীপে জেলে ও সাধারণ মানুষের ভিড় নেই। তবে আশপাশের এলাকা থেকে অনেক স্থানীয় মানুষ পুটনি দ্বীপে কাঁকড়া সংগ্রহ করতে আসে। এই দ্বীপের জঙ্গল ও খালে হরিণ ও মাছের বিচরণ থাকলেও বাঘ নেই বলে জানা যায়।

খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর

খুলনা শহর প্রানকেন্দ্রে শিববাড়ি, মজিদ সরণিতে খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর অবস্হিত। ১৯৯৮ সালে এ জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রত্নতত্ত্ব অধিপতির নিয়ন্ত্রণ এ জাদুঘরে উপহাপিত হয়েছে বিভিন্ন যুগের মৃৎপাত্র, গঠনশৈলী, ও বৌদ্ধ মুতি, শিলালিপি পোড়ামাটির ফলকচিত্র, অলং আইটি, পোড়ামাটির বল, পোড়ামা গুটিকা ইত্যাদি। এছাড়াও সামনের পার্টি প্রত্নস্হল এবং ঐতিহাসিক ইমারতের আলোচিত্রও আছে। আয়তনের দিক থেকে এটি দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্র জাদুঘর। দেশের বিভিন্ন ক্ষমতাপ্রাপ্ত এলাকা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বিশেষ করে ঝিনাইদহের বারবাজার, যশোরের ভরত ভায়ানা এবং বাগেরহাটের খানজাহান আলী সমাসৌধের কারণে দুর্লভ নিদর্শন প্রদর্শিত হচ্ছে। এ জাঘরে দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন-বিখ্যাত আলোকচিত্র দেখা যাবে। তার মধ্যে বিশ্ব ঐতিহ্য বিখ্যাত ষাটগম্বুজ জামে মসজিদ, নয়গম্বুজ মসজিদ, রনবিজপুর মসজিদ, জিন্দা পীরের মসজিদ, সোনা বিবির মসজিদ, সিঙ্গারা মসজিদ, দীদার খাঁর মাস, আনোয়ার খারমাস, আহমদ খারমাছ, চিল্লাখানা, খানজাহান আলী (র.) এর বসতভিটা ও দীঘিমা , কোতোয়ালি, কালোদীঘি, বিবি গোগির মসজিদ এবং বিন্দু গম্বুজ মাসসহ বৃহত্তর খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, মাগুরা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুরের এলাকা। এখানে অবস্থিত দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রত্তন স্থাপনার আলোকচিত্র দেখা যাবে। আলোকচিত্র ছাড়া জাদুঘরে দেখা যাবে গুপ্ত, পাল, সেন, মোগল ও অপারেটিং কর্মের বিভিন্ন নিদর্শন, পোড়ামাটির বিভিন্ন মূর্তি, কষ্টের মূর্তি, কালো পাথরের মূর্তি, তামা, পিতল, মাটি ও কাতের তৈজসপত্র, বিভিন্ন অস্ত্র, খেলা। ,তালিকাগতভাবে ব্যবহারসামগ্রী, মুঘল আমলের স্বর্ণ ও রৌপ্য সহ বৃহত্তর খুলনা সহ রাজনৈতিক বিভিন্ন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির বর্ণনা উল্লেখ করেছেন।

খানজাহান আলী সেতু

খানজাহান আলী সেতু রূপসা নদীর উপর নির্মিত একটি সেতু। এটি রূপসা সেতু নামেও পরিচিত। খুলনা শহরের রূপসা থেকে সেতুর দূরত্ব ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার। এই সেতুটিকে খুলনা শহরের প্রবেশদ্বার বলা যেতে পারে কারণ এই সেতুটি খুলনার সাথে দক্ষিণের জেলা বিশেষ করে মংলা সমুদ্র বন্দরের সাথে সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে। সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় 1.60 কিলোমিটার। [১] সেতুটিতে পথচারী এবং অ-মোটরচালিত যানবাহনের জন্য নির্দিষ্ট লেন রয়েছে। আজ এটি খুলনার পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সেতু থেকে রাতে খুলনা শহরকে সুন্দর দেখায়। উৎসবের দিনে, তরুণ-তরুণীরা সেতুতে ভিড় করে এবং আনন্দ উপভোগ করে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানের সহায়তায় নির্মিত সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং খালেদা জিয়া উদ্বোধন করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর