বাদামের পুষ্টি গুনাগুন
বাদামের পুষ্টি গুনাগুন
বাদাম শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি খাবার। নিয়মিত বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অসংখ্য উপকার দেয়। আসুন জেনে নিই বাদামের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ গুণাগুন:
হৃদরোগ প্রতিরোধ করে: বাদামে ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
মস্তিষ্কের জন্য উপকারী: বাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষকে রক্ষা করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এছাড়াও মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যও উপকারী।
হজম সহজ করে: বাদামে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী: বাদামে থাকা ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ ত্বক ও চুলকে স্বাস্থ্যকর রাখে।
হাড় মজবুত করে: বাদামে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস থাকে, যা হাড়কে মজবুত করে।
শক্তি বাড়ায়: বাদামে প্রচুর পরিমাণে শক্তি থাকে, যা দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজ করতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে: বাদামে ভালো ফ্যাট থাকে যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়া কমায়।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়: বাদাম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: বাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে: বাদামে ভিটামিন ই থাকে যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
কোন ধরনের বাদাম খাওয়া ভালো?
বাদামের অনেক প্রজাতি আছে, যেমন- বাদাম, কাজু বাদাম, আখরোট, পিস্তা ইত্যাদি। সব ধরনের বাদামেই পুষ্টিগুণ থাকে। তবে বিভিন্ন ধরনের বাদামে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। তাই আপনার পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের বাদাম খেতে পারেন।
দিনে কতটুকু বাদাম খাওয়া উচিত?
সাধারণত দিনে ২৫-৩০টি বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। তবে ব্যক্তির বয়স, ওজন এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুযায়ী পরিমাণ কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।
মনে রাখবেন:
বাদামে ক্যালোরি বেশি থাকে। তাই ওজন কমানোর চেষ্টা করলে পরিমাণে সতর্ক থাকুন।
কিছু লোকের বাদামের প্রতি অ্যালার্জি থাকতে পারে। তাই অ্যালার্জি থাকলে বাদাম খাওয়া উচিত নয়।