রাজশাহী বিভাগের দর্শনীয় স্থান
রাজশাহী বিভাগের দর্শনীয় স্থানসমূহ
পুঠিয়া রাজবাড়ি
বাঘা মসজিদ
রাজশাহী শিশু পার্ক
বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা
উৎসব এবং সাফিনা পার্ক
সরমংলা ইকোপার্ক
১.পুঠিয়া রাজবাড়ি: রাজশাহীর প্রাচীনতম স্থাপত্যের মধ্যে প্রধান হলো কুঠির বাড়ি | এটিকে পাঁচ আনি জমিদারবাড়ি বলা হয় | মহারানী হেমন্তকুমারী দেবী ১৮৯৫ সালে ইন্দো-ইউরোপীয় নকশার আদলে আয়তাকার দোতালা বর্তমান রাজবাড়িটি নির্মাণ করেন |
২.বাঘা মসজিদ: রাজশাহী শহরের ঐতিহাসিক বাঘা মসজিদ অবস্থিত | ইট দিয়ে তৈরি প্রাচীন মসজিদটিতে 14 টি গম্বুজ রয়েছে | এই মসজিদের ভেতরে এবং বাইরে প্রচুর পোড়ামাটির ফলক দেখতে পাওয়া যায় | মসজিদের ভেতরে উঁচু স্থানে একটি নামাজ কক্ষ রয়েছে সেটা কার বা কাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল সেটা সবার অজানা |
৩ .রাজশাহী শিশু পার্ক: রাজশাহী জেলার নওদাপাড়া বড় বনগ্রামে অবস্থিত এই শিশুপার্কটি | এটি অন্যতম একটি বিনোদন কেন্দ্র | এখানে নয়নাভিরাম পিকনিক স্পট সব বয়সীদের জন্য দেশি-বিদেশি রাইড , সুবিশাল লেক এবং নৌকা ভ্রমণের সুব্যবস্থা রয়েছে | এর আরেক নাম শহীদ জিয়া শিশু পার্ক |
৪.বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর: রাজশাহী শহরের অন্যতম প্রাচীন আকর্ষণীয় স্থান হল বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর | এটি হলো বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর | ১৯১৩ সালে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে যাত্রা শুরু হয় | মহাত্মা গান্ধী , নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ছাড়াও বিখ্যাত ব্যক্তি বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর এসেছেন |
৫.রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা: রাজশাহী শহরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান হল রাজশাহী কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা | এটা পদ্মা নদীর তীরে রেসকোর্স ময়দানের ৩২.৭৬ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে | রাজশাহী শহর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৪.২কিলোমিটার
১৯৭৪ – ৭৬ সালে এখানে চিড়িয়াখানার পাশাপাশি একটি শিশুপার্ক নির্মাণ করা হয় | যার কারণে রাশি কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানাটি শহীদ এ এইচ এম কামরুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা হিসেবে পরিচিত | চিড়িয়াখানায় প্রবেশ গেটে বিদ্যমান জিরাফের বিশাল ভাস্কর্য ও মৎস্যকুমারীর ফোয়ারা নজরে আসবে | নানা রকম ফুল ফল ও ছায়াঘেরা পার্কের ভেতরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য,নান্দনিক ব্রিজ সহ একটি ছোট লেক | চিড়িয়াখানায় উল্লেখযোগ্য সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে বাজরিকা ,বালিহাস, ঘোড়া, হরিণ,উদবিড়াল, অজগর সাপ, কুমিরসহ বিভিন্ন জলজ স্থলজ পশুপাখি |
৬.উৎসব পার্ক: রাজশাহীর দর্শনীয় স্থানসমূহের একটি হলো বাঘা উপজেলায় বাঘা দিঘির গ্রামীণ শান্ত পরিবেশে গড়ে ওঠা উৎসব পার্ক | ২০১৪ সালে প্রায় ৮০বিঘা জায়গায় সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে পার্কটি গড়ে তোলা হয় | উৎসব পার্কের রাইড এর মধ্যে আছে ট্রেন ,নাগরদোলা, ঘূর্ণি এবং দোলনা সহ ৮ টি ভিন্নধর্মী রাইড | বিভিন্ন পশু পাখির ভাস্কর্য,বাসার বেঞ্চ, লেক এবং পিকনিক স্পট যা সারাদিন আনন্দে কাটানোর উত্তম জায়গা |
৭.সাফিনা পার্ক: .সাফিনা পার্ক রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে আরেকটি নিদর্শন | গোদাগাড়ী উপজেলায় ২০১২ সালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে এই পার্কটি |
৮.সরমংলা ইকোপার্ক: রাজশাহী জেলার আরেকটি সুন্দর স্থান হল সরমংলা ইকোপার্ক | এটি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলায় অবস্থিত | ২০০৩ সালে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এ উপজেলার নিত্যানন্দপুর পর্যন্ত ২৭ কিলোমিটার খাঁড়ি খনন করা হয় | এই খাঁড়ি দুই পাশে বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপন করা হয় | যা ইকোপার্ক হিসেবে পরিচিত |
৯.রাজশাহী বিভাগের ১৪ টি দর্শনীয় স্থানের মধ্যে বগুড়ার মহাস্থানগড় অন্যতম |মহাস্থানগড় বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানায় অবস্থিত | বগুড়া শহর থেকে 13 কিলোমিটার পশ্চিমে করোতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত | মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি | এটি ইতিহাসে পুন্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল | একসময় মহাস্থানগড় বাংলার রাজধানী ছিল | প্রাচীরবেষ্টিত এই নগরীর ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন আমলের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন | মহাস্থানের রাজা ছিলেন নল | এখানে রয়েছে মাহি সরোয়ার এর মাজার শরীফ,কালিদহ সাগর, শীলাদেবীর ঘাট, জাদুঘর, জিয়ৎ কুন্ডকূপ, বেহুলার বাসরঘর ,গোবিন্দ ভিটা , ভাসু বিহার দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন প্রত্নস্থল বলে সারা পৃথিবীর পর্যটক এবং প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে মহাস্থান গড় আকর্ষণীয় |
নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থান : কুসুম্বা মসজিদ,পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, বলিহার রাজবাড়ী,জগদ্দল বিহার,পতিসর কাচারীবাড়ি, দুবলহাটি জমিদার বাড়ি |
কুসুম্বা মসজিদ:কুসুম্বা মসজিদটি চারকোনা বিশিষ্ট কালো ধূসর বর্ণের পাথরএবং পোড়ামাটির ফলক দ্বারা নির্মিত | পোড়ামাটির কারুকাজ খচিত মাটির টালি, মেহরাবে বিভিন্ন ফুল লতা -পাতা ,ঝুলন্ত শেকল রয়েছে |
পতিসর কাচারীবাড়ি রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত অনেক নিদর্শন | পতিসর কাচারীবাড়ি নাগর নদীর তীরে অবস্থিত |
বলিহার রাজবাড়ী : নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে বলিহার রাজবাড়ী অন্যতম | বলিহারের নয় চাকার রথ প্রসিদ্ধ ছিল |
নওগাঁ জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার অন্যতম | পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য 177 টি কক্ষ ছিল | ৭০.৩১ একর জায়গার ওপর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার অবস্থিত |